Thursday , 28 September 2023

Home » অর্থনীতি-ব্যবসা » গুলশান ডিসিসি মার্কেটে ছাত্রলীগের হামলা ভাংচুর

গুলশান ডিসিসি মার্কেটে ছাত্রলীগের হামলা ভাংচুর

গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে রাজধানীর গুলশানে ডিসিসি মার্কেটে তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডারা। ভাংচুর করা হয়েছে ফার্মেসীসহ ১৫টি দোকান। হামলাকারীরা এসময় ফাঁকাগুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল নীরব দর্শক। প্রাণভয়ে দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় বিদেশি ক্রেতাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বর সেকশনে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ বুধবার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সভা ডেকেছেন। রাতেই মার্কেটে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম সোহেল প্রাইভেটকারযোগে তার তিন সহযোগী নিয়ে ডিসিসি মার্কেটে আসেন। তারা মার্কেটের রং সাইড দিয়ে প্রবেশ করায় বাধা দেন নিরাপত্তাকর্মী আতিয়ার রহমান ও মোমিনুল ইসলাম। এসময় সোহেলসহ অন্যরা গাড়ি থামিয়ে তাদের প্রহার করে। তাদের চিত্কারে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনার প্রায় পৌনে এক ঘন্টা পর গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহিদুল ইসলাম রিয়াদের নেতৃত্বে ৫০/৬০ সশস্ত্র ক্যাডার মার্কেটে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় মার্কেটের প্রতিটি দোকানে বিপুল সংখ্যক দেশি-বিশেদি ক্রেতা ছিলেন। প্রায় ১৫/২০ মিনিট ধরে চলে ভাংচুর। মার্কেটের সামনে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল নীরব দর্শক। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।

মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগের নেতারা মার্কেটের সামনে একটি দোকান বসিয়েছে। এ দোকান বসার পর থেকে নিয়মিত তারা আড্ডা বসাতে শুরু করে। বিষয়টি সিটি করপোরেশন ও থানা পুলিশকে অবহিত করার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তারা চরম আতংকের মধ্যে আছেন।

এদিকে গুলশান থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহিদুল ইসলাম রিয়াদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় তিনি জড়িত নন। তিনি শুনেছেন দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ নগর কমিটির সহ-সম্পাদকের প্রাইভেট কার পার্ক করা নিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে গোলমাল হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মার্কেটের সামনে তিনি সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়েই একটি আমের দোকান দিয়েছেন। এই নিয়ে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের কোন সমস্যা নেই। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ জানিয়েছেন, কাজী জাহিদুল ইসলাম রিয়াদ ও সাইফুল ইসলাম সোহাগ ছাত্রলীগ কমিটির কেউ না। পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের যেন দ্রুত গ্রেফতার করা হয়।

গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলামের কাছে ঘটনার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তিনি শুনেছেন সোহাগ নামে এক ছেলের গাড়ি পার্কিং নিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যার দিকে হামলা চালানো হয়। এ সময় স্বর্ণের দোকান থেকে সাইরেন বাজানো হয়।

ফাঁকা গুলির ব্যাপারে ওসি বলেন, আমিন জুয়েলার্সের নিরাপত্তা কর্মীরা দোকানের নিরাপত্তার স্বার্থে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। তিনি আরো বলেন, ঘটনার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, থানা পুলিশকে জানানোর পর মার্কেটের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে ওসি বলেন, এ অভিযোগ ঠিক না। ঘটনা শোনার পর পরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।

গুলশান ডিসিসি মার্কেটে ছাত্রলীগের হামলা ভাংচুর Reviewed by on . গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে রাজধানীর গুলশানে ডিসিসি মার্কেটে তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডারা। ভাংচুর করা হয়েছে ফার্মেসীসহ ১৫টি দোকান। হামলাকারীরা এসময় ফাঁকাগুল গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে রাজধানীর গুলশানে ডিসিসি মার্কেটে তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডারা। ভাংচুর করা হয়েছে ফার্মেসীসহ ১৫টি দোকান। হামলাকারীরা এসময় ফাঁকাগুল Rating:
scroll to top